মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির পর কী হবে তা নিয়ে শঙ্কিত হামাস, তাই তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হচ্ছে না । শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্পের এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে শুধুমাত্র স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির গ্যারান্টি দিতে প্রস্তুত। খবর আলজাজিরা
এদিকে শুক্রবার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পৃথক বিবৃতিতে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, হামাস আলোচনায় আগ্রহী নয়, তাই বিকল্প পথে হাঁটার সময় এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের শাসনের অবসান ও জিম্মিদের ঘরে ফেরানো—এই দুই লক্ষ্য অর্জনে আমরা এখন বিকল্প পথ খুঁজছি। ট্রাম্প আরও কঠোর ভাষায় বলেছেন, হামাস নেতারা এখন থেকে শিকারে পরিণত হবেন।
এই মন্তব্যগুলোর ফলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আপাতত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নজির গড়েছে। তবে ব্রিটেন ও জার্মানি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা এখনই এমন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এর আগে কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিনিধি দল প্রত্যাহার করে। ওই সময় বলা হয়েছিল, এটি শুধু পরামর্শের জন্য সাময়িক বিরতি। কিন্তু নেতানিয়াহুর মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, ইসরায়েলের অবস্থান আরও কঠোর হয়েছে।
মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ অভিযোগ করেছেন, আলোচনার অচলাবস্থার জন্য দায়ী হামাস। হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, আমরা প্রস্তাব যা করেছি তা পরিস্থিতির জটিলতা বুঝে। শত্রু চাইলে একটি কার্যকর চুক্তির পথ খুলে দিতে পারত।
প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী ৬০ দিন যুদ্ধবিরতি, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং ইসরায়েলের কারাগারে আটক কিছু ফিলিস্তিনি বিনিময়ে হামাসের হাতে থাকা প্রায় ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তবে মূল বিরোধ দেখা দেয় ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও ৬০ দিনের পরবর্তী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে।
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে অপমানজনক আলোচনা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এবার বিজয়ের সময়।